১৯৫
অনন্তের বাণী তুমি, বসন্তের মাধুরী-উৎসবে
আনন্দের মধুপাত্র পরিপূর্ণ করি দিবে কবে।
বঞ্জুলনিকুঞ্জতলে সঞ্চরিবে লীলাচ্ছলে,
চঞ্চল অঞ্চলগন্ধে বনচ্ছায়া রোমাঞ্চিত হবে।
মন্থর মঞ্জুষ ছন্দে মঞ্জীরের গুঞ্জনকল্লোল
আন্দোলিবে ক্ষণে ক্ষণে অরণ্যের হৃদয়হিন্দোল।
নয়নপল্লবে হাসি হিল্লোলি উঠিবে ভাসি,
মিলনমল্লিকামাল্য পরাইবে পরানবল্লভে।
১৯৬
এবার এল সময় রে তোর শুকনো-পাতা-ঝরা—
যায় বেলা যায়, রৌদ্র হল খরা।
অলস ভ্রমর ক্লান্তপাখা মলিন ফুলের দলে
অকারণে দোল দিয়ে যায় কোন্ খেয়ালের ছলে।
স্তব্ধ বিজন ছায়াবীথি
বনের-ব্যথা-ভরা।
মনের মাঝে গান থেমেছে, সুর নাহি আর লাগে—
শ্রান্ত বাঁশি আর তো নাহি জাগে।
যে গেঁথেছে মালাখানি সে গিয়েছে ভুলে,
কোন্কালে সে পারে গেল সুদূর নদীকূলে।
রইল রে তোর অসীম আকাশ,
অবাধপ্রসার ধরা।
১৯৭
ওরে গৃহবাসী খোল্, দ্বার খোল্, লাগল যে দোল।
স্থলে জলে বনতলে লাগল যে দোল।
দ্বার খোল্, দ্বার খোল্।