উল্লাস-উতরোল বেণুবনকল্লোল,
কম্পিত কিশলয়ে মলয়ের চুম্বন।
তব আঁখিপল্লবে দিয়ে আঁকি বল্লভে
গগনের নবনীল স্বপনের অঞ্জন।
২০০
আমার বনে বনে ধরল মুকুল,
বহে মনে মনে দক্ষিণহাওয়া।
মৌমাছিদের ডানায় ডানায়
যেন উড়ে মোর উৎসুক চাওয়া।
গোপন স্বপনকুসুমে কে এমন সুগভীর রঙ দিল এঁকে—
নব কিশলয়শিহরনে ভাবনা আমার হল ছাওয়া।
ফাল্গুনপূর্ণিমাতে
এই দিশাহারা রাতে
নিদ্রাবিহীন গানে কোন্ নিরুদ্দেশের পানে
উদ্বেল গন্ধের জোয়ারতরঙ্গে হবে মোর তরণী বাওয়া।
২০১
‘আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি।
সন্ধ্যাবেলার চামেলি গো, সকালবেলার মল্লিকা
আমায় চেন কি।’
‘চিনি তোমায় চিনি, নবীন পান্থ—
বনে বনে ওড়ে তোমার রঙিন বসনপ্রান্ত।
ফাগুন প্রাতের উতলা গো, চৈত্র রাতের উদাসী
তোমার পথে আমরা ভেসেছি।’
‘ঘরছাড়া এই পাগলটাকে এমন ক’রে কে গো ডাকে
করুণ গুঞ্জরি,
যখন বাজিয়ে বীণা বনের পথে বেড়াই সঞ্চরি।’