ওরে পলাশ, ওরে পলাশ,
রাঙা রঙের শিখায় শিখায় দিকে দিকে আগুন জ্বলাস—
আমার মনের রাগ রাগিণী রাঙা হল রঙিন তানে।
দখিন-হাওয়ায় কুসুমবনের বুকের কাঁপন থামে না যে।
নীল আকাশে সোনার আলোয় কচি পাতার নুপুর বাজে।
ওরে শিরীষ, ওরে শিরীষ,
মৃদু হাসির অন্তরালে গন্ধজালে শূন্য ঘিরিস—
তোমার গন্ধ আমার কণ্ঠে আমার হৃদয় টেনে আনে।
২০৬
মোর বীণা ওঠে কোন্ সুরে বাজি কোন্ নব চঞ্চল ছন্দে
মম অন্তর কম্পিত আজি নিখিলের হৃদয়স্পন্দে।
আসে কোন্ তরুণ অশান্ত, উড়ে বসনাঞ্চলপ্রান্ত—
আলোকের নৃত্যে বনান্ত মুখরিত অধীর আনন্দে।
অম্বরপ্রাঙ্গণমাঝে নিঃস্বর মঞ্জীর গুঞ্জে।
অশ্রুত সেই তালে বাজে করতালি পল্লবপুঞ্জে।
কার পদপরশন-আশা তৃণে তৃণে অর্পিল ভাষা—
সমীরণ বন্ধনহারা উন্মন কোন্ বনগন্ধে।
২০৭
ওরে ভাই, ফাগুন লেগেছে বনে বনে—
ডালে ডালে ফুলে ফলে পাতায় পাতায় রে,
আড়ালে আড়ালে কোণে কোণে।
রঙে রঙে রঙিল আকাশ, গানে গানে নিখিল উদাস—
যেন চলচঞ্চল নব পল্লবদল মর্মরে মোর মনে মনে।
হেরো হেরো অবনীর রঙ্গ,
গগনের করে তপোভঙ্গ।