২১০
ওর আয় রে তবে, মাত্ রে সবে আনন্দে
আজ নবীন প্রাণের বসন্তে।
পিছন-পানের বাঁধন হতে চল্ ছুটে আজ বন্যাস্রোতে,
আপনাকে আজ দখিন-হাওয়ায় ছড়িয়ে দে রে দিগন্তে।
বাঁধন মত ছিন্ন করো আনন্দে
আজ নবীন প্রাণের বসন্তে।
অকূল প্রাণের সাগর-তীরে ভয় কী রে তোর ক্ষয়-ক্ষতিরে।
যা আছে রে সব নিয়ে তোর ঝাঁপ দিয়ে পড়্ অনন্তে।
২১১
বসন্ত, তোর শেষ ক’রে দে, শেষ ক’রে দে, শেষ ক’রে দে রঙ্গ—
ফুল ফোটাবার খ্যাপামি, তার উদ্দামতরঙ্গ।
উড়িয়ে দেবার ছড়িয়ে দেবার মাতন তোমার থামুক এবার,
নীড়ে ফিরে আসুক তোমার পথহারা বিহঙ্গ।
তোমার সাধের মুকুল কতই পড়ল ঝ’রে—
তারা ধুলা হল, তারা খুলা দিল ভ’রে।
প্রখর তাপে জরোজরো ফল ফলাবার সাধন ধরো,
হেলাফেলার পালা তোমার এই বেলা হোক ভঙ্গ।
২১২
দিনশেষে বসন্ত যা প্রাণে গেল ব’লে
তাই নিয়ে বসে আছি, বীণাখানি কোলে।
তারি সুর নেব ধরে
আমারি গানেতে ভরে,
ঝরা মাধবীর সাথে যায় সে যে চলে।
থামো থামো দখিনপবন,
কী বারতা এনেছ তা কোরো না গোপন।