যে দিনেরে নাই মনে তুমি তারি উপবনে
কী ফুল পেয়েছ খুঁজে— গন্ধে প্রাণ ভোলে।
২১৩
সব দিবি কে সব দিবি পায়, আ য় আ য় আয়।
ডাক পড়েছে ওই শোনা যায় ‘আ য় আ য় আয়’।
আসবে যে সে স্বর্ণরথে– জাগবি কারা রিক্ত পথে
পৌষ-রজনী তাহার আশায়, আ য় আ য় আয়।
ক্ষণেক কেবল তাহার খেলা, হা য় হা য় হায়।
তার পরে তার যাবার বেলা, হা য় হা য় হায়।
চলে গেলে জাগবি যবে ধনরতন বোঝা হবে—
বহন করা হবে যে দায়, আ য় আ য় আয়।
২১৪
বাকি আমি রাখব না কিছুই—
তোমার চলার পথে পথে ছেয়ে দেব ভুঁই।
ওগো মোহন, তোমার উত্তরীয় গন্ধে আমার ভরে নিয়ো,
উজাড় করে দেব পায়ে বকুল বেলা জুঁই।
দখিন-সাগর পার হয়ে যে এলে পথিক তুমি,
আমার সকল দেব অতিথিরে আমি বনভূমি।
আমার কুলায়-ভরা রয়েছে গান, সব তোমারে করেছি দান—
দেবার কাঙাল করে আমায় চরণ যখন ছুঁই।
২১৫
ফল ফলাবার আশা আমি মনে রাখি নি রে।
আজ আমি তাই মুকুল ঝরাই দক্ষিণসমীরে।