২২১
ওই) ভাঙল হাসির বাঁধ।
অধীর হয়ে মাতল কেন পূর্ণিমার ওই চাঁদ।
উতল হাওয়া ক্ষণে ক্ষণে মুকুল-ছাওয়া বকুলবনে
দোল দিয়ে যায় পাতায় পাতায়, ঘটায় পরমাদ।
ঘুমের আঁচল আকুল হল কী উল্লাসের ভরে।
স্বপন যত ছড়িয়ে প’ল দিকে দিগন্তরে।
আজ রাতের এই পাগলামিরে বাঁধবে ব’লে কে ওই ফিরে,
শালবীথিকায় ছায়া গেঁথে তাই পেতেছে ফাঁদ।
২২২
ও আমার চাঁদের আলো, আজ ফাগুনের সন্ধ্যাকালে
ধরা দিয়েছ যে আমার পাতায় পাতায় ডালে ডালে।
যে গান তোমার সুরের ধারায় বন্যা জাগায় তারায় তারায়
মোর আঙিনায় বাজল গো, বাজল সে-সুর আমার প্রাণের তালে-তালে।
সব কুঁড়ি মোর ফুটে ওঠে তোমার হাসির ইশারাতে।
দখিন-হাওয়া দিশাহারা আমার স্কুলের গন্ধে মাতে।
শুভ্র, তুমি করলে বিলোল আমার প্রাণে রঙের হিলোল—
মর্মরিত মর্ম গো,
মর্ম আমার জড়ায় তোমার হাসির জালে।
২২৩
ও চাঁদ, তোমায় দোলা দেবে কে!
ও চাঁদ, তোমায় দোলা—
কে দেবে কে দেবে তোমায় দোলা—
আপন আলোর স্বপন-মাঝে বিভোল ভোলা।
কেবল তোমার চোখের চাওয়ায় দোলা দিলে হাওয়ায় হাওয়ায়
বনে বনে দোল জাগালো ওই চাহনি তুফান তোলা।