২২৬
আজ দখিন-বাতালে
নাম-না-জানা কোন্ বনফুল ফুটল বনের ঘাসে।
‘ও মোর পথের সাথি পথে পথে গোপনে যায় আসে।’
কৃষ্ণচূড়া চূড়ায় সাজে , বকুল তোমার মালার মাঝে,
শিরীষ তোমার ভরবে সাজি ফুটেছে সেই আশে।
‘এ মোর পথের বাঁশির সুরে সুরে লুকিয়ে কাঁদে হাসে।’
ওরে দেখ বা নাই দেখ, ওরে যাও বা না যাও ভুলে।
ওরে নাই বা দিলে দোলা, ওরে নাই বা নিলে তুলে।
সভায় তোমার ও কেহ নয়, ওর সাথে নেই ঘরের প্রণয়,
যাওয়া-আসার আভাস নিয়ে রয়েছে এক পাশে।
ওগো ওর সাথে মোর প্রাণের কথা নিশ্বাসে নিশ্বাসে।’
২২৭
বিদায় যখন চাইবে তুমি দক্ষিণসমীরে
তোমায় ভাকব না ফিরে ফিরে।
করব তোমায় কী সম্ভাষণ, কোথায় তোমার পাতব আসন
পাতা-ঝরা কুসুম-ঝরা নিকুঞ্জকুটিরে।
তুমি আপনি যখন আস তখন আপনি কর ঠাঁই—
আপনি কুসুম ফোটাও, মোরা তাই দিয়ে সাজাই।
তুমি যখন যাও চলে যাও সৰ আয়োজন হয় যে উধাও—
গান ঘুচে যায়, রঙ মুছে যায়, তাকাই অশ্রুনীরে।
২২৮
এবেলা ডাক পড়েছে কোন্খানে
ফাগুনের ক্লান্ত ক্ষণের শেষ গানে।
সেখানে স্তব্ধ বীণার তারে তারে সুরের খেলা ডুব সাঁতারে—