এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২২
প্রকৃতি
২৩৯
বাসন্তী, হে ভুবনমোহিনী,
দিকপ্রান্তে, বনবনান্তে,
শ্যাম প্রান্তরে, আম্রছায়ে,
সরোবরতীরে, নদীনীরে,
নীল আকাশে, মলয়বাতাসে
ব্যাপিল অনন্ত তব মাধুরী।
নগরে গ্রামে কাননে, দিনে নিশীথে,
পিকসঙ্গীতে, নৃত্যগীতকলনে বিশ্ব আনন্দিত।
ভবনে ভবনে বীণাতান রণ-রণ ঝঙ্কৃত।
মধুমদমোদিত হৃদয়ে হৃদয়ে রে
নবপ্রাণ উচ্ছ্বসিল আজি,
বিচলিত চিত উচ্ছলি উন্মাদনা
ঝন-ঝন ঝনিল মঞ্জীরে মঞ্জীরে॥
২৪০
আন্ গো তোরা কার কী আছে,
দেবার হাওয়া বইল দিকে দিগন্তরে—
এই সুসময় ফুরায় পাছে।
কুঞ্জবনের অঞ্জলি যে ছাপিয়ে পড়ে,
পলাশকানন ধৈর্য হারায় রঙের ঝড়ে,
বেণুর শাখা তালে মাতাল পাতার নাচে।
প্রজাপতি রঙ ভাসালো নীলাম্বরে,
মৌমাছিরা ধ্বনি উড়ায় বাতাস-’পরে।
দখিন-হাওয়া হেঁকে বেড়ায় ‘জাগো জাগো’,
দোয়েল কোয়েল গানের বিরাম জানে না গো—
রক্ত রঙের জাগল প্রলাপ অশোক-গাছে।