২৪১
ফাগুন, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান—
তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান—
আমার আপনহারা প্রাণ আমার বাঁধন-ছেঁড়া প্রাণ।
তোমার অশোকে কিংশুকে
অলক্ষ্য রঙ লাগল আমার অকারণের সুখে,
তোমার ঝাউয়ের দোলে
মর্মরিয়া ওঠে আমার দুঃখরাতের গান।
পূর্ণিমাসন্ধ্যায় তোমার রজনীগন্ধায়
রূপসাগরের পারের পানে উদাসী মন ধায়।
তোমার প্রজাপতির পাখা
আমার আকাশ-চাওয়া মুগ্ধ চোখের রঙিন-স্বপন-মাখা।
তোমার চাঁদের আলোয়।
মিলায় আমার দুঃখসুখের সকল অবসান।
২৪২
নিবিড় অমা-তিমির হতে বাহির হল জোয়ার-স্রোতে।
শুক্লরাতে চাঁদের তরণী॥
ভরিল ভরা অরূপ ফুলে, সাজালো ডালা অমরাকূলে
আলোর মালা চামেলি-বরনী।
তিথির পরে তিথির ঘাটে আসিছে তরী দোলের নাটে,
নীরবে হাসে স্বপনে ধরণী।
উৎসবের পসরা নিয়ে পূর্ণিমার কূলেতে কি এ
ভিড়িল শেষে তন্দ্রাহরণী।
২৪৩
হে মাধবী, দ্বিধা কেন, আসিবে কি ফিরিবে কি—
আঙিনাতে বাহিরিতে মন কেন গেল ঠেকি।