২৬২
নীল দিগন্তে ওই ফুলের আগুন লাগল,
বসন্তে সৌরভের শিখা জাগল।
আকাশের লাগে ধাঁধা রবির আলো ওই কি বাঁধা।
বুঝি ধরার কাছে আপনাকে সে মাগল,
সর্ষেক্ষেতে ফুল হয়ে তাই জাগল।
নীল দিগন্তে মোর বেদনখানি লাগল,
অনেক কালের মনের কথা জাগল।
এল আমার হারিয়ে-যাওয়া কোন্ ফাগুনের পাগল হাওয়া।
বুঝি এই ফাগুনে আপনাকে সে মাগল,
সর্ষেক্ষেতে ঢেউ হয়ে তাই জাগল।
২৬৩
বসন্ত তার গান লিখে যায় ধূলির ’পরে কী আদরে।
তাই সে ধুলা ওঠে হেসে বারে বারে নবীন বেশে,
বারে বারে রূপের সাজি আপনি ভরে কী আদরে।
তেমনি পরশ লেগেছে মোর হৃদয়তলে,
সে যে তাই ধন্য হল মন্ত্রবলে।
তাই প্রাণে কোন্ মায়া জাগে, বারে বারে পুলক লাগে,
বারে বারে গানের মুকুল আপনি ধরে কী আদরে।
২৬৪
ফাগুনের শুরু হতেই শুকনো পাতা ঝরল যত
তারা আজ কেঁদে শুধায়, ‘সেই ডালে ফুল ফুটল কি গো,
ওগো কও ফুটল কত।’
তারা কয়, ‘হঠাৎ হাওয়ায় এল ভাসি
মধুরের সুদূর হাসি হায়।
খ্যাপা হাওয়ায় আকুল হয়ে ঝরে গেলেম শত শত।’