২৬৯
চেনা ফুলের গন্ধস্রোতে ফাগুন-রাতের অন্ধকারে
চিত্তে আমার ভাসিয়ে আনে নিত্যকালের অচেনারে।
একদা কোন্ কিশোর-বেলায় চেনা চোখের মিলন-মেলা
সেই তো খেলা করেছিল কান্নাহাসির ধারে ধারে।
তারি ভাষার বাণী নিয়ে প্রিয়া আমার গেছে ডেকে,
তারি বাঁশির ধ্বনি সে যে বিরহে মোর গেছে রেখে।
পরিচিত নামের ডাকে তার পরিচয় গোপন থাকে,
পেয়ে যারে পাই নে তারি পরশ পাই যে বারে বারে।
২৭০
মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে,
মধুর মলয়সমীরে মধুর মিলন রটাতে।
কুহকলেখনী ছুটায়ে কুসুম তুলিছে ফুটায়ে,
লিখিছে প্রণয়কাহিনী বিবিধ বরনছটাতে।
হেরো পুরানো প্রাচীন ধরণী হয়েছে শ্যামলবরনী,
যেন যৌবনপ্রবাহ ছুটেছে কালের শাসন টুটাতে।
পুরানো বিরহ হানিছে নবীন মিলন আনিছে,
নবীন বসন্ত আইল নবীন জীবন ফুটাতে।
২৭১
আমার মালায় ফুলের দলে আছে লেখা বসন্তের মন্ত্রলিপি।
এর মাধুর্যে আছে যৌবনের আমন্ত্রণ।
শাহানা রাগিণী এর রাঙা রঙে রঞ্জিত,
মধুকরের ক্ষুধা অশ্রুর ছন্দে, গন্ধে তার গুঞ্জরে।
আন্ গো ডালা গাঁথ্ গো মালা,
আন্ মাধবী মালতী অশোকমঞ্জরী, আয় তোরা আয়।
আন করবী রঙ্গন কাঞ্চন রজনীগন্ধা প্রফুল্লমল্লিকা, আয় তোরা আয়।