২৭৮
সেই তো বসন্ত ফিরে এল, হৃদয়ের বসন্ত ফুরায় হায় রে।
সব মরুময়, মলয়-অনিল এসে কেঁদে শেষে ফিরে চলে যায় হায় রে।
কত শত ফুল ছিল হৃদয়ে, ঝরে গেল, আশালতা শুকালো—
পাখিগুলি দিকে দিকে চলে যায়।
শুকানো পাতায় ঢাকা বসন্তের মৃতকায়,
প্রাণ করে হায়-হায় হায় রে।
ফুরাইল সকলই।
প্রভাতের মৃদু হাসি, ফুলের রূপরাশি, ফিরিবে কি আর।
কিবা জোছনা ফুটিত রে কিবা যামিনী—
সকলই হারালো, সকলই গেল রে চলিয়া, প্রাণ করে হায় হায় হায় রে।
২৭৯
নিবিড় অন্তরতর বসন্ত এল প্রাণে।
জগতজনহৃদয়ধন, চাহি তব পানে।
হরষরস বরষি যত তৃষিত ফুলপাতে
কুঞ্জকাননপবন পরশ তব আনে।
মুগ্ধ কোকিল মুখর রাত্রি দিন যাপে,
মর্মরিত পল্লবিত সকল বন কাঁপে।
দশ দিশি সুরম্য সুন্দর মধুর হেরি,
দুঃখ হল দূর সব-দৈন্য-অবসানে।
২৮০
নব নব পল্লবরাজি
সব বন উপবনে উঠে বিকশিয়া,
দখিনপবনে সঙ্গীত উঠে বাজি।
মধুর সুগন্ধে আকুল ভুবন, হাহা করিছে মম জীবন।
এসো এসো সাধনধন, মম মন করো পূর্ণ আজি।