যেমন একলা মধুপ ধেয়ে যায়
কেবল ফুলের সৌরভে।
২২
স্বপন-পারের ডাক শুনেছি, লেগে তাই তো ভাবি—
কেউ কখনো খুঁজে কি পায় স্বপ্নলোকের চাবি।
নয় তো সেথায় যাবার তরে, নয় কিছু তো পাবার তরে,
নাই কিছু তার দাবি—
বিশ্ব হতে হারিয়ে গেছে স্বপ্নলোকের চাবি।
চাওয়া-পাওয়ার বুকের ভিতর না-পাওয়া ফুল ফোটে,
দিশাহারা গন্ধে তারি আকাশ ভরে ওঠে।
খুঁজে যারে বেড়াই গানে, প্রাণের গভীর অতল-পানে
যে জন গেছে নাবি,
সেই নিয়েছে চুরি করে স্বপ্নলোকের চাবি।
২৩
আপন-মনে গোপন কোণে লেখাজোখার কারখানাতে
দুয়ার রুধে বচন কুঁদে খেলনা আমায় হয় বানাতে।
এই জগতের সকাল সাঁজে ছুটি আমার সকল কাজে,
মিলে মিলে মিলিয়ে কথা রঙে রঙে হয় মানাতে।
কে গো আছে ভুবন-মাঝে নিত্যশিশু আনন্দেতে,
ডাকে আমায় বিশ্বখেলায় খেলাঘরের জোগান দিতে।
বনের হাওয়ায় সকাল-বেলা ভাসায় সে যে গানের ভেলা,
সেই তো কাঁপায় সুরের কাঁপন মৌমাছিদের নীল ডানাতে।
২৪
সকালবেলার কুঁড়ি আমার বিকালে যায় টুটে,
মাঝখানে হায় হয় নি দেখা উঠল যখন ফুটে।