ঝরা ফুলের পাপড়িগুলি ধুলো থেকে আনিস তুলি,
শুকনো পাতার গাঁথব মালা হৃদয়পত্রপুটে।
যখন সময় ছিল দিল ফাঁকি—
এখন আন্ কুড়ায়ে দিনের শেষে অসময়ের ছিন্ন বাকি।
কৃষ্ণরাতের চাঁদের কণা আঁধারকে দেয় যে সান্ত্বনা
তাই নিয়ে মোর মিটুক আশা— স্বপন গেছে ছুটে।
২৫
পাগল যে তুই, কণ্ঠ ভরে
জানিয়ে দে তাই সাহস করে।
দেয় যদি তোর দুয়ার নাড়া
থাকিস কোণে, দিস নে সাড়া—
বলুক সবাই ‘সৃষ্টিছাড়া’, বলুক সবাই ‘কী কাজ তোরে’।
বল্ রে ‘আমি কেহই না গো,
কিছুই নহি, যে হই-না’।
শুনে বনে উঠবে হাসি,
দিকে দিকে বাজবে বাঁশি—
বলবে বাতাস ‘ভালোবাসি’, বাঁধবে আকাশ অলখ ভোরে।
২৬
খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি আমার মনের ভিতরে।
কত রাত তাই তো জেগেছি বলব কী তোরে।
প্রভাতে পথিক ডেকে যায়, অবসর পাই নে আমি হায়—
বাহিরের খেলায় ডাকে সে, যাব কী ক’রে।
যা আমার সবার হেলাফেলা যাচ্ছে ছড়াছড়ি
পুরোনো ভাঙা দিনের ঢেলা, তাই দিয়ে ঘর গড়ি।
যে আমার নতুন খেলার জন তারি এই খেলার সিংহাসন,
ভাঙারে জোড়া দেবে সে কিসের মন্তরে।