চিরদিনের কান্নাহাসি উঠছে ভেসে রাশি রাশি—
এ-সব দেখতেছে কোন্ নিদ্রাহারা নয়ন অবনত।
ওগো, সেই নয়নে নয়ন আমার হোক-না নিমেষহত—
ওই আকাশ-ভরা দেখার সাথে দেখব অবিরত।
৩৭
আলোক-চোরা লুকিয়ে এল ওই—
তিমিরজয়ী বীর, তোরা আজ কই।
এই কুয়াশা-জয়ের দীক্ষা কাহার কাছে লই।
মলিন হল শুভ্র বরন, অরুণ-সোনা করল হরণ,
লজ্জা পেয়ে নীরব হল উষা জ্যোতির্ময়ী।
সুপ্তিসাগরতীর বেয়ে সে এসেছে মুখ ঢেকে,
অঙ্গে কালি মেখে।
রবির রশ্মি কই গো তোরা, কোথায় আঁধার-ছেদন ছোরা,
উদয়শৈলশৃঙ্গ হতে বল্ ‘মাভৈঃ মাভৈঃ’।
৩৮
জাগ’ আলসশয়নবিলগ্ন।
জাগ’ তামসগহননিমগ্ন
ধৌত করুক করুণাবৃষ্টি সুপ্তিজড়িত যত আবিল দৃষ্টি,
জাগ’ দুঃখভারনত উদ্যমভগ্ন।
জ্যোতিসম্পদ ভরি দিক চিত্ত ধনপ্রলোভননাশন বিত্ত,
জাগ’ পুণ্যবান পর’ লজ্জিত নগ্ন।
৩৯
তোমার আসন শূন্য আজি হে বীর পূর্ণ করো—
ওই-যে দেখি বসুন্ধরা কাঁপল থরোথরো।
বাজল তুর্য আকাশপথে— সূর্য আসেন অগ্নিরথে আকাশপথে,
এই প্রভাতে দখিন হাতে বিজয়খড়্গ ধরো।