ভাঙল যাহা পড়ল ধুলায় যাক্-না চুলায় গো—
ভরল যা তাই দেখ্-না, রে ভাই, বাতাস ঘেরি, আকাশ ঘেরি।
৫৫
দুয়ার মোর পথপাশে, সদাই তারে খুলে রাখি।
কখন্ তার রথ আসে ব্যাকুল হয়ে জাগে আঁখি।
শ্রাবণে শুনি দূর মেঘে লাগায় গুরু গরো-গরো,
ফাগুনে শুনি বায়ুবেগে জাগায় মৃদু মরো-মরো—
আমার বুকে উঠে জেগে চমক তারি থাকি থাকি।
সবাই দেখি যায় চলে পিছন-পানে নাহি চেয়ে
উতল রোলে কল্লোলে পথের গান গেয়ে গেয়ে।
শরৎ-মেঘ যায় ভেসে উধাও হয়ে কত দূরে
যেথায় সব পথ মেশে গোপন কোন্ সুরপুরে।
স্বপনে ওড়ে কোন্ দেশে উদাস মোর মনোপাখি।
৫৬
নাহয় তোমার যা হয়েছে তাই হল।
আরো কিছু নাই হল, নাই হল, নাই হল।
কেউ যা কভু দেয় না ফাঁকি সেইটুকু তোর থাক্-না বাকি,
পথেই নাহয় ঠাঁই হল।
চল্ রে সোজা বীণার তারে ঘা দিয়ে,
ডাইনে বাঁয়ে দৃষ্টি তোমার না দিয়ে।
হারিয়ে চলিস পিছনেরে, সামনে যা পাস কুড়িয়ে নে রে—
খেদ কী রে তোর যাই হল।
৫৭
সে কোন্ বনের হরিণ ছিল আমার মনে।
কে তারে বাঁধন অকারণে।