আবার কখন এমনি দিনেই ফাগুন মাসে
কী আশ্বাসে
ডালগুলি তার রইবে শ্রবণ পেতে
অলখ জনের চরণ-শব্দে মেতে।
প্রত্যহ তার মর্মরস্বর বলবে আমায় কী বিশ্বাসে,
‘সে কি আসে— সে কি আসে।’
প্রশ্ন জানাই পুষ্পবিভোর ফাগুন মাসে
কী আশ্বাসে,
‘হায় গো, আমার ভাগ্য-রাতের তারা,
নিমেষ-গণন হয় নি কি মোর সারা।’
প্রত্যহ বয় প্রাঙ্গণময় বনের বাতাস এলোমেলো—
‘সে কি এল— সে কি এল।’
৮২
হে আকাশবিহারী-নীরদবাহন জল,
আছিল শৈলশিখরে-শিখরে তোমার লীলাস্থল।
তুমি বরনে বরনে কিরণে কিরণে প্রাতে সন্ধ্যায় অরুণে হিরণে
দিয়েছ ভাসায়ে পবনে পবনে স্বপনতরণীদল।
শেষে শ্যামল মাটির প্রেমে তুমি ভুলে এসেছিলে নেমে,
কবে বাঁধা পড়ে গেলে যেখানে ধরার গভীর তিমিরতল।
আজ পাষাণদুয়ার দিয়েছি টুটিয়া, কত যুগ পরে এসেছ ছুটিয়া
নীল গগনের হারানো স্মরণ
গানেতে সমুচ্ছল।
৮৩
যে কেবল পালিয়ে বেড়ায়, দৃষ্টি এড়ায়, ডাক দিয়ে যায় ইঙ্গিতে,
সে কি আজ দিল ধরা গন্ধে-ভরা বসন্তের এই সঙ্গীতে।