আমরা জুটে সারা বেলা করব হতভাগার মেলা,
গাব গান খেলব খেলা গো—
কণ্ঠে যদি গান না আসে করব কোলাহল।
১১৩
ওগো, তোমরা সবাই ভালো—
যার অদৃষ্টে যেমনি জুটেছে, সেই আমাদের ভালো—
আমাদের এই আঁধার ঘরে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালো।
কেউ বা অতি জ্বলো জ্বলো, কেউ বা ম্লান’ ছলো-ছলো,
কেউ বা কিছু দহন করে, কেউ বা স্নিগ্ধ আলো।
নূতন প্রেমে নূতন বধু আগাগোড়া কেবল মধু,
পুরাতনে অম্ল-মধুর একটুকু ঝাঁঝালো।
বাক্য যখন বিদায় করে চক্ষু এসে পায়ে ধরে,
রাগের সঙ্গে অনুরাগে সমান ভাগে ঢালো।
আমরা তৃষ্ণা, তোমরা সুধা— তোমরা তৃপ্তি, আমরা ক্ষুধা—
তোমার কথা বলতে কবির কথা ফুরালো।
যে মূর্তি নয়নে জাগে সবই আমার ভালো লাগে—
কেউ বা দিব্যি গৌরবরন, কেউ বা দিব্যি কালো।
১১৪
ভালো মানুষ নই রে মোরা ভালো মানুষ নই—
গুণের মধ্যে ওই আমাদের, গুণের মধ্যে ওই।
দেশে দেশে নিন্দে রটে, পদে পদে বিপদ ঘটে—
পুঁথির কথা কই নে মোরা, উল্টো কথা কই।
জন্ম মোদের ত্র্যহস্পর্শে, সকল-অনাসৃষ্টি।
ছুটি নিলেন বৃহস্পতি, রইল শনির দৃষ্টি।
অযাত্রাতে নৌকো ভাসা, রাখি নে, ভাই, ফলের আশা—
আমার আর নাই যে গতি ভেসেই চলা বই।