চৌতালে ধামারে
কে কোথায় ঘা মারে—
তেরে-কেটে মেরে-কেটে ধাঁ-ধাঁ-ধাঁইয়ে।
১১৮
ও ভাই কানাই, কারে জানাই দুঃসহ মোর দুঃখ।
তিনটে-চারটে পাস করেছি, নই নিতান্ত মুক্খ।
তুচ্ছ সা-রে-গা-মা’য় আমায় গলদ্ঘর্ম ঘামায়।
বুদ্ধি আমার যেমনি হোক কান দুটো নয় সূক্ষ্ম—
এই বড়ো মোর দুঃখ কানাই রে,
এই বড়ো মোর দুঃখ।
বান্ধবীকে গান শোনাতে ডাকতে হয় সতীশকে,
হৃদয়খানা ঘুরে মরে গ্রামোফোনের ডিস্কে।
কণ্ঠখানার জোর আছে তাই লুকিয়ে গাইতে ভরসা না পাই—
স্বয়ং প্রিয়া বলেন, ‘তোমার গলা বড়োই রুক্ষ’
এই বড়ো মোর দুঃখ কানাই রে,
এই বড়ো মোর দুঃখ।
১১৯
কাঁটাবনবিহারিণী সুর-কানা দেবী
তাঁরি পদ সেবি, করি তাঁহারই ভজনা
বদ্কণ্ঠলোকবাসী আমরা কজনা।
আমাদের বৈঠক বৈরাগীপুরে রাগ-রাগিণীর বহু দূরে,
গত জনমের সাধনেই বিদ্যা এনেছি সাথে এই গো
নিঃসুর-রসাতল-তলায় মজনা।
সতেরো পুরুষ গেছে, ভাঙা তম্বুরা
রয়েছে মর্চে ধরি বেসুর-বিধুরা।