যখন থেকে থেকে গাঁঠের পানে গাঁঠকাটারা দৃষ্টি হানে
তখন শূন্যঝুলি দেখায়ে গাই— তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না।
যখন দ্বারে আসে মরণবুড়ি মুখে তাহার বাজাই তুড়ি,
তখন তান দিয়ে গান জুড়ি রে ভাই— তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না।
এ যে বসন্তরাজ এসেছে আজ, বাইরে তাহার উজ্জ্বল সাজ,
ওরে, অন্তরে তার বৈরাগী গায়— তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না।
সে যে উৎসবদিন চুকিয়ে দিয়ে, ঝরিয়ে দিয়ে, শুকিয়ে দিয়ে,
দুই রিক্ত হাতে তাল দিয়ে গায়— তাইরে নাইরে নাইরে না।
না না না।
১২২
এবার যমের দুয়োর খোলা পেয়ে ছুটেছে সব ছেলে মেয়ে।
হরিবোল হরি বোল হরিবোল।
রাজ্য জুড়ে মস্ত খেলা, মরণ-বাঁচন-অবহেলা—
ও ভাই, সবাই মিলে প্রাণটা দিলে সুখ আছে কি মরার চেয়ে।
হরিবোল হরি বোল হরিবোল।
বেজেছে ঢোল, বেজেছে ঢাক, ঘরে ঘরে পড়েছে ডাক,
এখন কাজকর্ম চুলোতে যাক— কেজো লোক সব আয় রে ধেয়ে
হরিবোল হরি বোল হরিবোল।
রাজা প্রজা হবে জড়ো থাকবে না আর ছোটো বড়ো—
একই স্রোতের মুখে ভাসবে সুখে বৈতরণীর নদী বেয়ে।
হরিবোল হরি বোল হরিবোল।
১২৩
হায় হায় হায় দিন চলি যায়।
চা-স্পৃহ চঞ্চল চাতকদল চল’ চল’ চল’ হে।
টগ’বগ’-উচ্ছল কাথলিতল-জল কল’কল’হে।
এল চীনগগন হতে পূর্বপবনস্রোতে শ্যামলরসধরপুঞ্জ।