শ্রাবণবাসরে রস ঝর’ঝর’ ঝরে, ভুঞ্জ হে ভুঞ্জ দলবল হে।
এস’ পুঁথিপরিচারক তদ্ধিতকারক তারক তুমি কাণ্ডারী।
এস’ গণিতুধুরন্ধর কাব্যপুরন্দর ভূবিবরণভাণ্ডারী।
এস’ বিশ্বভারনত শুষ্করুটিনপথ- মরু-পরিচারণক্লান্ত।
এস’ হিসাবপত্তরত্রস্ত তহবিল-মিল-ভুল-গ্রস্ত লোচনপ্রান্ত ছল’ছল’ হে।
এস’ গতিবীথিচর তম্বুরকরধর তানতালতলমগ্ন।
এস’ চিত্রী চট’পট’ ফেলি তুলিকপট রেখাবর্ণবিলগ্ন।
এস’ কন্স্টিট্যুশন- নিয়মবিভূষণ তর্কে অপরিশ্রান্ত।
এস’ কমিটিপলাতক বিধানঘাতক এস’ দিগভ্রান্ত টল’মল’ হে।
১২৪
ওগো ভাগ্যদেবী পিতামহী, মিটল আমার আশ—
এখন তবে কাজ করে, বিদায় হবে দাস।
জীবনের এই বাসররাতি পোহায় বুঝি, নেবে বাতি—
বধূর দেখা নাইকো, শুধু প্রচুর পরিহাস।
এখন থেমে গেল বাঁশি, শুকিয়ে এল পুষ্পরাশি,
উঠল তোমার অট্টহাসি কাঁপায়ে আকাশ।
ছিলেন যাঁরা আমায় ঘিরে গেছেন যে যার ঘরে ফিরে,
আছ বৃদ্ধা ঠাকুরানী মুখে টানি বাস।
১২৫
ওর ভাব দেখে যে পায় হাসি, হায় হায় রে।
মরণ-আয়োজনের মাঝে বসে আছেন কিসের কাজে
কোন্ প্রবীণ প্রাচীন প্রবাসী। হায় হায় রে।
এবার দেশে যাবার দিনে আপনাকে ও নিক-না চিনে,
সবাই মিলে সাজাও ওকে নবীন রূপে সন্ন্যাসী। হায় হায় রে।
এবার ওকে মজিয়ে দে রে হিসাব-ভুলেয় বিষম ফেরে।