১৩৪
ওরে, যেতে হবে, আর দেরি নাই।
পিছিয়ে পড়ে রবি কত, সঙ্গীরা যে গেল সবাই।
আয় রে ভবের খেলা সেরে, আঁধার করে এসেছে রে,
পিছন ফিরে বারে বারে কাহার পানে চাহিস রে ভাই।
খেলতে এল ভবের নাটে নতুন লোকে নতুন খেলা।
হেথা হতে আয় রে সরে, নইলে তোরে মারবে চেলা।
নামিয়ে দে রে প্রাণের বোঝা, আরেক দেশে চল রে সোজা—
সেথা নতুন করে বাঁধবি বাসা,
নতুন খেলা খেলবি সে ঠাঁই।
১৩৫
আমিই শুধু রইনু বাকি।
যা ছিল তা গেল চলে, রইল যা তা কেবল ফাঁকি।
আমার ব’লে ছিল যারা আর তো তারা দেয় না সাড়া—
কোথায় তারা, কোথায় তারা, কেঁদে কেঁদে কারে ডাকি।
বল্ দেখি মা, শুধাই তোরে— আমার কিছু রাখলি নে রে,
আমি কেবল আমায় নিয়ে কোন্ প্রাণেতে বেঁচে থাকি।
১৩৬
সারা বরষ দেখি নে, মা, মা তুই আমার কেমন ধারা।
নয়নতারা হারিয়ে আমার অন্ধ হল নয়নতারা।
এলি কি পাষাণী ওরে। দেখব তোরে আঁখি ভ’রে—
কিছুতেই থামে না যে, মা, পোড়া এ নয়নের ধারা।
১৩৭
যাহা পাও তাই লও, হাসিমুখে ফিরে যাও।
কারে চাও, কেন চাও— তোমার আশা কে পূরাতে পারে।