১৪০
সন্ন্যাসী যে জাগিল ওই, জাগিল ওই, জাগিল।
হাস্য-ভরা দখিন-বায়ে অঙ্গ হতে দিল উড়ায়ে
শ্মশানচিতাভস্মরাশি— ভাগিল কোথা ভাগিল।
মানসলোকে শুভ্র আলো চূর্ণ হয়ে রঙ জাগালো,
মদির রাগ লাগিল তারে— হৃদয়ে তার লাগিল।
আয় রে তোরা, আয় রে তোরা, আয় রে—
রঙের ধারা ওই-যে বহে যায় রে।
রঙের ঝড় উচ্ছ্বসিল গগনে,
রঙের ঢেউ রসের স্রোতে মাতিয়া ওঠে সঘনে—
ভাকিল বান আজি সে কোন্ কোটালে।
নাকাড়া বাজে কানাড়া বাজে বাঁশিতে—
কান্নধারা মিলিয়া গেছে হাসিতে—
প্রাণের মাঝে ফোয়ারা তার ছোটালে।
১৪১
এসেছে হাওয়া বাণীতে দোল-দোলানো, এসেছে পথ-ভোলানো—
এসেছে ডাক ঘরের-দ্বার-খোলানো।
আয় রে তোরা, আয় রে তোরা, আয় রে—
রঙের ধারা ওই-যে বহে যায় রে।
উদয়রবি যে রাঙা রঙ রাঙায়ে পূর্বাচলে দিয়েছে ঘুম ভাঙায়ে
অস্তরবি সে রাঙা রসে রসিল—
চিরপ্রাণের বিজয়বাণী ঘোষিল।
অরুণবীণা যে সুর দিল রণিয়া সন্ধ্যাকাশে সে সুর উঠে ঘনিয়া
নীরব নিশীথিনীর বুকে নিখিল ধ্বনি ধ্বনিয়া।
আয় রে তোরা, আয় রে তোরা, আয় রে—
বাঁধন-হারা রঙের ধারা ওই-যে বহে যায় রে।