আকাশে আকাশে বনে বনে তোমাদের মনে মনে
বিছায়ে বিছায়ে দিবে গান।
সুন্দরের পাদপীঠতলে যেখানে কল্যাণদীপ জ্বলে
সেথা পাবে স্থান।
১১
আ য় আ য় আয় আমাদের অঙ্গনে অতিথি বালক তরুদল—
মানবের স্নেহসঙ্গ নে, চল্ আমাদের ঘরে চল্।
শ্যাম বঙ্কিম ভঙ্গিতে চঞ্চল কলসঙ্গীতে
দ্বারে নিয়ে আয় শাখায় শাখায় প্রাণ-আনন্দ-কোলাহল।
তোদর নবীন পল্লবে নাচুক আলোক সবিতার,
দে পবনে বনবল্লভে মর্মরগীত-উপহার।
আজি শ্রাবণের বর্ষণে আশীর্বাদের স্পর্শ নে,
পড়ুক মাথায় পাতায় পাতায় অমরাবতীর ধারাজল।
১২
মরুবিজয়ের কেতন উড়াও শূন্যে হে প্রবল প্রাণ।
ধুলিরে ধন্য করো করুণার পুণ্যে হে কোমল প্রাণ।
মৌনী মাটির মর্মের গান কবে উঠিবে ধ্বনিয়া মর্মর তব রবে,
মাধুরী ভরিবে ফুলে ফলে পল্লবে হে মোহন প্রাণ।
পথিকবন্ধু, ছায়ার আসন পাতি এসো শ্যামসুন্দর।
এসে বাতাসের অধীর খেলার সাথি, মাতাও নীলাম্বর।
উষায় জাগাও শাখায় গানের আশা, সন্ধ্যায় আনো বিরামগভীর ভাষা,
রচি দাও রাতে সুপ্ত গীতের বাসা হে উদার প্রাণ।
১৩
ওহে নবীন অতিথি, তুমি নূতন কি তুমি চিরন্তন।
যুগে যুগে কোথা তুমি ছিলে সঙ্গোপন।