‘কী করি কী করি’ বলি হাহা করি ভ্রমি গো—
ব্যাধগণের প্রবেশ
প্রথম ব্যাধ। দেখ্ দেখ্, দুটো পাখি বসেছে গাছে।
দ্বিতীয় ব্যাধ। আয় দেখি চুপিচুপি আয় রে কাছে।
প্রথম ব্যাধ। আরে, ঝট্ করে এইবারে ছেড়ে দে রে বাণ।
দ্বিতীয় ব্যাধ। রোস্, রোস্, আগে আমি করি রে সন্ধান।
বাল্মীকি। থাম্ থাম, কী করিবি বধি পাখিটির প্রাণ।
দুটিতে রয়েছে সুখে, মনের উল্লাসে গাহিতেছে গান।
প্রথম ব্যাধ। রাখো মিছে ও-সব কথা,
কাছে মোদের এস নাকো হেথা,
চাই নে ও-সব-শাস্তর-কথা— সময় বহে যায় যে।
বাল্মীকি। শোনো শোনো, মিছে রোষ কোরো না।
ব্যাধ। থামো থামো ঠাকুর— এই ছাড়ি বাণ।
একটি ক্রৌঞ্চকে বধ
বাল্মীকি। মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বমগমঃ শাশ্বতীঃ সমাঃ।
যৎ ক্রৌঞ্চমিথুনাদেকমবধীঃ কামমোহিতম্।
কী বলিনু আমি! এ কী সুললিত বাণী রে!
কিছু না জানি কেমনে যে আমি প্রকাশিনু দেবভাষা,
এমন কথা কেমনে শিখিনু রে!
পুলকে পূরিল মনপ্রাণ, মধু বরষিল শ্রবণে,
এ কী! হৃদয়ে এ কী এ দেখি!
ঘোর অন্ধকারমাঝে, এ কী জ্যোতি ভায়—
অবাক্! করুণা এ কার।
সরস্বতীর আবির্ভাব
বাল্মীকি। এ কী এ, এ কী এ, স্থির চপলা!
কিরণে কিরণে হল সব দিক উজলা।