সুখ পায় তায় সে।
চির কলিকাজনম কে করে বহন চিরশিশিররাতে।
প্রমদা ও সখীগণ। না না না, সখা, মোরা ভুলি নে ছলনাতে।
অমর। ওই কে গো হেসে চায়, চায় প্রাণের পানে।
গোপন হৃদয়তলে কী জানি কিসের ছলে
আলোক হানে।
এ প্রাণ নূতন ক’রে কে যেন দেখালে মোরে,
বাজিল মরমবীণা নূতন তানে।
এ পুলক কোথা ছিল, প্রাণ ভরি বিকশিল—
তৃষাভরা তৃষাহরা এ অমৃত কোথা ছিল।
কোন্ চাঁদ হেসে চাহে, কোন্ পাখি গান গাহে,
কোন্ সমীরণ বহে লতাবিতানে।
প্রমদা। দূরে দাঁড়ায়ে আছে,
কেন আসে না কাছে।
ওলো যা, তোরা যা সখী, যা শুধা গে
ওই আকুল অধর আঁখি কী ধন যাচে।
সখীগণ। ছী, ওলো ছী, হল কী, ওলো সখী।
প্রথমা। লাজবাঁধ কে ভাঙিল, এত দিনে শরম টুটিল।
তৃতীয়া। কেমনে যাব, কী শুধাব।
প্রথমা। লাজে মরি, কী মনে করে পাছে।
প্রমদা। ওলো যা, তোরা যা সখী, যা শুধা’গে
ওই আকুল অধর আঁখি কী ধন যাচে।
মায়াকুমারীগণ। প্রেমপাশে ধরা পড়েছে দুজনে
দেখো দেখো, সখী, চাহিয়া।
দুটি ফুল খসে ভেসে গেল ওই প্রণয়ের স্রোত বাহিয়া
অমরের প্রতি
সখীগণ। ওগো, দেখি আঁখি তুলে চাও—