দেখিতে দেখিতে নূতন আলোকে
কে দিল রচিয়া ধ্যানের পুলকে
নূতন ভুবন নূতন দ্যুলোকে মোদের মিলিত নয়নে—
নয়নে, নয়নে।
বহির-আকাশে মেঘ ঘিরে আসে, এল সব তারা ঢাকিতে।
হারানো সে আলো আসন বিছালো শুধু দুজনের আঁখিতে—
আঁখিতে, আঁখিতে।
ভাষাহারা মম বিজন রোদনা
প্রকাশের লাগি করেছে সাধনা,
চিরজীবনেরি বাণীর বেদনা মিটিল দোঁহার নয়নে—
নয়নে, নয়নে।
প্রস্থান
অর্জুনের প্রবেশ
অর্জুন। কেন রে ক্লান্তি আসে আবেশভার বহিয়া,
দেহ মন প্রাণ দিবানিশি জীর্ণ অবসাদে কেন রে।
ছিন্ন করো এখনি বীর্যবিলোপী এ কুহেলিকা।
এই কর্মহারা কারাগারে রয়েছ কোন্ পরমাদে।
কেন রে।
গ্রামবাসীগণের প্রবেশ
গ্রামবাসীগণ। হো, এল এল এল রে দস্যুর দল,
গর্জিয়া নামে যেন বন্যার জল— এল এল।
চল্ তোরা পঞ্চগ্রামী,
চল্ তোরা কলিঙ্গধামী,
মল্লপল্লী হতে চল্ চল্।
‘জয় চিত্রাঙ্গদা’ বল, বল বল ভাই রে—
ভয় নাই, ভয় নাই, ভয় নাই, নাই রে।
অর্জুন। জনপদবাসী, শোনো শোনো,
রক্ষক তোমাদের নাই কোনো?