আজ পরাবে বীরাঙ্গনা তোমার
দৃপ্ত ললাটে, সখা,
বীরের বরণমালা।
সখী। হে কৌন্তেয়,
ভালো লেগেছিল ব’লে
তব করযুগে সখী দিয়েছিল ভরি সৌন্দর্যের ডালি
নন্দনকানন হতে পুষ্প তুলে এনে বহু সাধনায়।
যদি সাঙ্গ হল পূজা
তবে আজ্ঞা করো, প্রভু,
নির্মাল্যের সাজি থাক পড়ে মন্দিরবাহিরে।
এইবার প্রসন্ন নয়নে চাও সেবিকার পানে।
চিত্রাঙ্গদার প্রবেশ
চিত্রাঙ্গদা। আমি চিত্রাঙ্গদা, আমি রাজেন্দ্রনন্দিনী।
নহি দেবী, নহি সামান্যা নারী।
পূজা করি মোরে রাখিবে উর্ধ্বে সে নহি নহি,
হেলা করি মোরে রাখিবে পিছে সে নহি নহি।
যদি পার্শ্বে রাখ মোরে সঙ্কটে সম্পদে,
সম্মতি দাও যদি কঠিন ব্রতে সহায় হতে
পাবে তবে তুমি চিনিতে মোরে।
আজ শুধু করি নিবেদন—
আমি চিত্রাঙ্গদা রাজেন্দ্রনন্দিনী।
অর্জুন। ধন্য ধন্য ধন্য আমি।
সমবেত নৃত্য
তৃষ্ণার শান্তি সুন্দরকান্তি
তুমি এসো বিরহের সন্তাপভঞ্জন।
দোলা দাও বক্ষে, এঁকে দাও চক্ষে
স্বপনের তুলি দিয়ে মাধুরীর অঞ্জন।