কঙ্কণানদীর ধারে
ভোরবেলা নিয়ে যাই তারে—
দূর্বাদলঘন মাঠে, নদীর ধারে ধারে ধারে, তারে
সারা বেলা চরাই, চরাই গো।
দেহখানি তার চিক্কণ কালো
যত দেখি তত লাগে ভালো।
কাছে বসে যাই ব’কে, উত্তর দেয় সে চোখে,
পিঠে মোর রাখে মাথা—
গায়ে তার হাত বুলাই, হাত বুলাই গো।
চণ্ডালকন্যা প্রকৃতি দই কিনতে চাইল
একজন মেয়ে সাবধান করে দিল
মেয়ে। ওকে ছুঁয়ো না, ছুঁয়ো না, ছি,
ও যে চণ্ডালিনীর ঝি—
নষ্ট হবে যে দই সে কথা জানো না কি।
দইওয়ালার প্রস্থান
চুড়িওয়ালার প্রবেশ
চুড়িওয়ালা। ওগো, তোমরা যত পাড়ার মেয়ে
এসো এসো, দেখো চেয়ে—
এনেছি কাঁকনজোড়া সোনলি তারে মোড়া।
আমার কথা শোনো, হাতে লহো প’রে—
যারে রাখিতে চাহ ধ’রে কাঁকন তোমার বেড়ি হয়ে
বাঁধিবে মন তাহার আমি দিলাম কয়ে।
প্রকৃতি চুড়ি নিতে হাত বাড়াতেই
মেয়েরা। ওকে ছুঁয়ো না, ছুঁয়ো না, ছি,
ও যে চণ্ডালিনীর ঝি।
চুড়িওয়ালা প্রভৃতির প্রস্থান