২২
যোগী হে, কে তুমি হৃদি-আসনে!
বিভূতিভূষিত শুভ্র দেহ, নাচিছ দিক্-বসনে।
মহা-আনন্দে পুলক কায়, গঙ্গা উথলি উছলি যায়,
ভালে শিশুশশী হাসিয়া চায়—
জটাজূট ছায় গগনে।
২৩
ভিক্ষে দে গো, ভিক্ষে দে।
দ্বারে দ্বারে বেড়াই ঘুরে, মুখ তুলে কেউ চাইলি নে।
লক্ষ্মী তোদের সদয় হোন, ধনের উপর বাড়ুক ধন—
আমি একটি মুঠো অন্ন চাই গো, তাও কেন পাই নে।
ওই রে সূর্য উঠল মাথায়, যে যার ঘরে চলেছে।
পিপাসাতে ফাটছে ছাতি, চলতে আর যে পারি নে।
ওরে তোদের অনেক আছে, আরো অনেক হবে—
একটি মুঠো দিবি শুধু আর কিছু চাহি নে।
২৪
আয় রে আয় রে সাঁঝের বা, লতাটিরে দুলিয়ে যা—
ফুলের গন্ধ দেব তোরে আঁচলটি তোর ভ’রে ভ’রে।
আয় রে আয় রে মধুকর, ডানা দিয়ে বাতাস কর্—
ভোরের বেলা গুন্গুনিয়ে ফুলের মধু যাবি নিয়ে।
আয় রে চাঁদের আলো আয়, হাত বুলিয়ে দে রে গায়—
পাতার কোলে মাথা থুয়ে ঘুমিয়ে পড়বি শুয়ে শুয়ে।
পাখি রে, তুই কোস্ নে কথা— ওই-যে ঘুমিয়ে প’ল লতা।
২৫
প্রিয়ে, তোমার ঢেঁকি হলে যেতেম বেঁচে
রাঙা চরণতলে নেচে নেচে।