ঢিপ্ঢিপিয়ে যেতেম মারা, মাথা খুঁড়ে হতেম সারা—
কানের কাছে কচ্কচিয়ে মানটি তোমার নিতেম যেচে।
২৬
কথা কোস্ নে লো রাই, শ্যামের বড়াই বড়ো বেড়েছে।
কে জানে ও কেমন ক’রে মন কেড়েছে।
শুধু ধীরে বাজায় বাঁশি, শুধু হাসে মধুর হাসি—
গোপিনীদের হৃদয় নিয়ে তবে ছেড়েছে।
২৭
ওই জানালার কাছে বসে আছে করতলে রাখি মাথা—
তার কোলে ফুল পড়ে রয়েছে, সে যে ভুলে গেছে মালা গাঁথা।
শুধু ঝুরু ঝুরু বায়ু বহে যায় তার কানে কানে কী যে কহে যায়—
তাই আধো শুয়ে আধো বসিয়ে ভাবিতেছে কত কথা।
চোখের উপরে মেঘ ভেসে যায়, উড়ে উড়ে যায় পাখি—
সারা দিন ধ’রে বকুলের ফুল ঝ’রে পড়ে থাকি থাকি।
মধুর আলস, মধুর আবেশ, মধুর মুখের হাসিটি—
মধুর স্বপনে প্রাণের মাঝারে বাজিছে মধুর বাঁশিটি।
২৮
সাধ ক’রে কেন, সখা, ঘটাবে গেরো।
এই বেলা মানে-মানে ফেরো ফেরো।
পলক যে নাই আঁখির পাতায়,
তোমার মনটা কি খরচের খাতায়,—
হাসি ফাঁসি দিয়ে প্রাণে বেঁধেছে গেরো।
সখা, ফেরো ফেরো।
২৯
ধীরে ধীরে প্রাণে আমার এসো হে,
মধুর হাসিয়ে ভালোবেসো হে।