বাঁশির ধ্বনি হাওয়ায় ভাসে, সবার কানে বাজবে না সে—
দেখ্ লো চেয়ে যমুনা ওই ছাপিয়ে গেল কূল।
১০০
মধুঋতু নিত্য হয়ে রইল তোমার মধুর দেশে—
যাওয়া-আসার কান্নাহাসি হাওয়ায় সেথা বেড়ায় ভেসে।
যায় যে জনা সেই শুধু যায়, ফুল ফোটা তো ফুরোয় না হায়—
ঝরবে যে ফুল সেই কেবলই ঝরে পড়ে বেলাশেষে।
যখন আমি ছিলেম কাছে তখন কত দিয়েছি গান—
এখন আমার দূরে যাওয়া, এরও কি গো নাই কোনো দান।
পুষ্পবনের ছায়ায় ঢেকে এই আশা তাই গেলেম রেখে—
আগুন-ভরা ফাগুনকে ভোৱ কাঁদায় যেন আষাঢ় এসে।
১০১
ও তো আর ফিরবে না রে, ফিরবে না আর, ফিরবে না রে
ঝড়ের মুখে ভাসল তরী—
কূলে ভিড়বে না রে।
কোন্ পাগলে নিল ডেকে,
কাঁদন গেল পিছে রেখে—
ওকে তোর বাহুর বাঁধন ঘিরবে না রে।
১০২
বাজে রে বাজে ডমরু বাজে হৃদয়মাঝে, হৃদয়মাঝে।
নাচে রে নাচে চরণ নাচে প্রাণের কাছে, প্রাণের কাছে।
প্রহর জাগে, প্রহরী জাগে— তারায় তারায় কাঁপন লাগে।
মরমে মরমে বেদনা ফুটে— বাঁধন টুটে, বাঁধন টুটে।