আমের বনে দোলা লাগে, মুকুল পড়ে ঝ’রে—
চিরকালের চেনা গন্ধ হাওয়ায় ওঠে ভ’রে।
মঞ্জরিত শাখায় শাখায়, মউমাছিদের পাখায় পাখায়,
ক্ষণে ক্ষণে বসন্তদিন ফেলেছে নিশ্বাস—
মাঝখানে তার তোমার চোখে আমার সর্বনাশ।
১১৬
বলেছিল ‘ধরা দেব না’, শুনেছিল সেই বড়াই।
বীরপুরুষের সয় নি গুমোর, বাধিয়ে দিয়েছে লড়াই।
তার পরে শেষে কী যে হল কার,
কোন্ দশা হল জয়পতাকার।—
কেউ বলে জিৎ, কেউ বলে হার, আমরা গুজব ছড়াই।
১১৭
গুরুপদে মন করো অর্পণ, ঢালো ধন তাঁর ঝুলিতে।
লঘু হবে ভার, রবে নাকো আর ভবের দোলায় দুলিতে।
হিসাবের খাতা নাড়ো ব’সে ব’সে, মহাজনে নেয় সুদ ক’যে ক’ষে—
খাঁটি যেই জন সেই মহাজনে কেন থাক হায় ভুলিতে।
দিন চলে যায় ট্যাঁকে টাকা হায় কেবলই খুলিতে তুলিতে।
১১৮
শোন্ রে শোন্ অবোধ মন,
শোন্ সাধুর উক্তি, কিসে মুক্তি সেই সুযুক্তি কর্ গ্রহণ।
ভবের শুক্তি ভেঙে মুক্তিমুক্তা কর্ অন্বেষণ,
ওরে ও ভোলা মন।
১১৯
জয় জয় তাসবংশ-অবতংস!
ক্রীড়াসরসীনীরে রাজহংস।