১২৬
ইচ্ছে!— ইচ্ছে!
সেই তো ভাঙছে, সেই তো গড়ছে,
সেই তো দিচ্ছে নিচ্ছে।
সেই তো আঘাত করছে তালায়, সেই তো বাঁধন ছিড়ে পালায়—
বাঁধন পরতে সেই তো আবার ফিরছে।
১২৭
আমরা দূর আকাশের নেশায় মাতাল ঘরভোলা সব যত—
বকুলবনের গন্ধে আকুল মউমাছিদের মতো।
সূর্য ওঠার আগে মন আমাদের জাগে—
বাতাস থেকে ভোৱ-বেলাকার সুর ধরি সব কত।
কে দেয় রে হাতছানি
নীল পাহাড়ের মেঘে মেঘে, আভাস বুঝি জানি।
পথ যে চলে বেঁকে বেঁকে অলখ-পানে ডেকে ডেকে
ধরা যারে যায় না তারি ব্যাকুল খোঁজেই রত।
১২৮
বাহির হলেম আমি আপন ভিতর হতে,
নীল আকাশে পাড়ি দেব খ্যাপা হাওয়ার স্রোতে।
আমের মুকুল ফুটে ফুটে যখন পড়ে ঝ’রে ঝ’রে
মাটির আঁচল ভ’রে ভ’রে—
ঝরাই আমার মনের কথা ভরা ফাগুন-চোতে।
কোথা তুই প্রাণের দোসর বেড়াস ঘুরি ঘুরি—
বনবীথির আলোছায়ায় করিস লুকোচুরি।
আমার একলা বাঁশি পাগলামি তার পাঠায় দিগন্তরে
তোমার গানের তরে—
কবে বসন্তেরে জাগিয়ে দেব আমাতে আর তোতে।