শতবার লও তুলে, শতবার পড়ি ভুলে—
কী আর করিতে পারে দুর্বল যে জন।
পৃথ্বীর ধূলিতে, দেব, মোদের ভবন—
পৃথীর ধূলিতে অন্ধ মোদের নয়ন।
জন্মিয়াছি শিশু হয়ে, খেলা করি ধূলি লয়ে—
মোদের অভয় দাও দুর্বলশরণ।
একবার ভ্রম হলে আর কি লবে না কোলে,
অমনি কি দূরে তুমি করিবে গমন।
তা হলে যে আর কভু উঠিতে নারিব প্রভু
ভূমিতলে চিরদিন রব অচেতন।
8
মহাসিংহাসনে বসি শুনিছ, হে বিশ্বপিত,
তোমারি রচিত ছন্দে মহান্ বিশ্বের গীত।
মর্তের মৃত্তিকা হয়ে ক্ষুদ্র এই কণ্ঠ লয়ে
আমিও দুয়ারে তব হয়েছি হে উপনীত।
কিছু নাহি চাহি, দেব, কেবল দর্শন মাগি।
তোমারে শুনাব গীত, এসেছি তাহারি লাগি।
গাহে যেথা রবি শশী সেই সভামাঝে বসি
একান্তে গাহিতে চাহে এই ভকতের চিত।
৫
দিবানিশি করিয়া যতন
হৃদয়েতে রচেছি আসন—
জগতপতি হে, কৃপা করি হেথা কি করিবে আগমন।
অতিশয় বিজন এ ঠাঁই, কোলাহল কিছু হেথা নাই—
হৃদয়ের নিভৃত নিলয় করেছি যতনে প্রক্ষালন।