মহোৎসবে ত্রিভুবন মাতিল, কী আনন্দ উথলিল—
চলো চলো, চলো ভাই।
দেবলোকে উঠিয়াছে জয়গান গাহো সবে একতান—
বলো সবে জয়-জয়।
১০
বড়ো আশা ক’রে এসেছি গো, কাছে ডেকে লও,
ফিরায়ো না জননী।
দীনহীনে কেহ চাহে না, তুমি তারে রাখিবে জানি গো।
আর আমি-যে কিছু চাহি নে, চরণতলে বসে থাকিব।
আর আমি-যে কিছু চাহি নে, জননী ব’লে শুধু ডাকিব।
তুমি না রাখিলে, গৃহ আর পাইব কোথা, কেঁদে কেঁদে কোথা বেড়াব—
ওই-যে হেরি তমসঘনঘোরা গহন রজনী।
১১
বর্ষ ওই গেল চলে।
কত দোষ করেছি যে, ক্ষমা করো— লহো কোলে।
শুধু আপনারে লয়ে সময় গিয়েছে বয়ে—
চাহি নি তোমার পানে, ডাকি নাই পিতা ব’লে।
অসীম তোমার দয়া, তুমি সদা আছ কাছে—
অনিমেষ আঁখি তব মুখপানে চেয়ে আছে।
স্মরিয়ে তোমার স্নেহ পুলকে পূরিছে দেহ—
প্রভু গো, তোমারে কভু আর না রহিব ভুলে।
১২
তুমি কি গো পিতা আমাদের!
ওই-যে নেহারি মুখ অতুল স্নেহের।
ওই-যে নয়নে তব অরুণকিরণ নব,
বিমল চরণতলে ফুল ফুটে প্রভাতের।