নিদ্রা আর নাই চোখে বিমল অরুণালোকে
জাগিয়া উঠেছে আজি সবে।
চলো গো পিতার ঘরে, সারা বৎসরের তরে
প্রসাদ-অমৃত ভিক্ষা লবে।
ওই হেরো তাঁর দ্বার জগতের পরিবার
হোথায় মিলেছে আজি সবে—
ভাই বন্ধু সবে মিলি করিতেছে কোলাকুলি,
মাতিয়াছে প্রেমের উৎসবে।
যত চায় তত পায়— হৃদয় পূরিয়া যায়,
গৃহে ফিরে জয়-জয়-রবে।
সবার মিটেছে সাধ— লভিয়াছে আশীর্বাদ,
সম্বৎসর আনন্দে কাটিবে।
২০
আজি এনেছে তাঁহারি আশীর্বাদ প্রভাতকিরণে।
পবিত্র করপরশ পেয়ে ধরণী লুটিছে তাঁহারি চরণে।
আনন্দে তরুলতা নোয়াইছে মাথা, কুসুম ফুটাইছে শত বরনে।
আশা উল্লাসে চরাচর হাসে—
কী ভয়, কী ভয় দুঃখ-তাপ-মরণে।
২১
চলিয়াছি গৃহপানে, খেলাধুলা অবসান।
ডেকে লও, ডেকে লও, বড়ো শ্রান্ত মন প্রাণ।
ধুলায় মলিন বাস, আঁধারে পেয়েছি ত্রাস—
মিটাতে প্রাণের তৃষা বিষাদ করেছি পান।
খেলিতে সংসারের খেলা কাতরে কেঁদেছি হায়,
হারায়ে আশার ধন অশ্রুবারি ব’হে যায়।
ধুলাঘর গড়ি যত ভেঙে ভেঙে পড়ে তত—
চলেছি নিরাশ-মনে, সান্ত্বনা করো গো দান।