সে আনন্দে উপবন বিকশিত অনুক্ষণ,
সে আনন্দে ধায় নদী আনন্দবায়তা ক’য়ে।
সে পুণ্যনির্ঝরস্রোতে বিশ্ব করিতেছে স্নান,
রাখো সে অমৃতধারা পূরিয়া হৃদয় প্রাণ।
তোমরা এসেছ তীরে— শূন্য কি যাইবে ফিরে,
শেষে কি নয়ননীরে ডুবিবে তৃষিত হয়ে।
চিরদিন এ আকাশ নবীন নীলিমাময়,
চিরদিন এ ধরণী যৌবনে ফুটিয়া রয়।
সে,আনন্দরসপানে চিরপ্রেম জাগে প্রাণে,
দহে না সংসারতাপ সংসার-মাঝারে র’য়ে।
৩৭
হরি, তোমায় ডাকি, সংসারে একাকী
আঁধার অরণ্যে ধাই হে।
গহন তিমিরে নয়নের নীরে,
পথ খুঁজে নাহি পাই হে।
সদা মনে হয় ‘কী করি’ ‘কী করি’,
কখন আসিবে কালবিভাবরী—
তাই ভয়ে মরি, ডাকি হরি! হরি!
হরি বিনে কেহ নাই হে।
নয়নের জল হবে না বিফল,
তোমায় সবে বলে ভকতবৎসল—
সেই আশা মনে করেছি সম্বল,
বেঁচে আছি শুধু তাই হে।
আঁধারেতে জাগে তব আঁখিতারা,
তোমার ভক্ত কভু হয় না পথহারা—
প্রাণ তোমায় চাহে, তুমি ধ্রুবতারা—
আর কার পানে চাই হে।