(তরী বহে নিয়ে যাও কেহ নাহি জানে কেমনে।
জীবনতরী বহে নিয়ে যাও কেহ নাহি জানে কেমনে।)
জানি শুধু তুমি আছ তাই আছি, তুমি প্রাণময় তাই আমি বাঁচি,
যত পাই তোমায় আরো তত যাচি— যত জানি তত জানি নে।
(জেনে শেষ মেলে না— মন হার মানে হে।)
জানি আমি তোমায় পাব নিরন্তর লোক-লোকান্তরে যুগ-যুগান্তর—
তুমি আর আমি মাঝে কেহ নাই, কোনো বাধা নাই ভুবনে।
(তোমার আমার মাঝে কোনো বাধা নাই ভুবনে।)
৬৮
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না।
কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে, তোমারে দেখিতে দেয় না।
(মোহমেঘে তোমারে দেখিতে দেয় না।
অন্ধ করে রাখে, তোমারে দেখিতে দেয় না।)
ক্ষণিক আলোকে আঁখির পলকে তোমায় যবে পাই দেখিতে
ওহে ‘হারাই হারাই’ সদা হয় ভয়, হারাইয়া ফেলি চকিতে।
(আশ না মিটিতে হারাইয়া— পলক না পড়িতে হারাইয়া—
হৃদয় না জুড়াতে হারাইয়া ফেলি চকিতে।)
কী করিলে বলো পাইব তোমারে, রাখিব আঁখিতে আঁখিতে—
ওহে এত প্রেম আমি কোথা পাব, নাথ, তোমারে হৃদয়ে রাখিতে।
(আমার সাধ্য কিবা তোমারে—
দয়া না করিলে কে পাবে—
তুমি আপনি না এলে কে পারে হৃদয়ে রাখিতে।)
আর-কারো পানে চাহিব না আর, করিব হে আমি প্রাণপণ—
ওহে তুমি যদি বলো এখনি করিব বিষয় -বাসনা বিসর্জন।
(দিব শ্রীচরণে বিষয়— দিব অকাতরে বিষয়—
দিব তোমার লাগি বিষয় -বাসনা বিসর্জন।)