এই হাসিমুখগুলি হাসি পাছে যায় ভুলি,
পাছে ঘেরে আঁধার প্রমাদ,
ইহাদের কাছে ডেকে বুকে রেখে, কোলে রেখে,
তোমরা করো গো আশীর্বাদ।
বলো, ‘সুখে যাও চলে ভবের তরঙ্গ দ’লে,
স্বর্গ হতে আসুক বাতাস—
সুখ দুঃখ কোরো হেলা, সে কেবল ঢেউখেলা
নাচিবে তোদের চারিপাশ।’
১৩
সমুখে শান্তিপারাবার—
ভাসাও তরণী হে কর্ণধার।
তুমি হবে চিরসাথি, লও লও হে ক্রোড় পাতি—
অসীমের পথে জ্বলিবে জ্যোতি ধ্রুবতারকার।
মুক্তিদাতা, তোমার ক্ষমা তোমার দয়া
হবে চিরপাথেয় চিরযাত্রার।
হয় যেন মর্তের বন্ধনক্ষয়, বিরাট বিশ্ব বাহু মেলি লয়—
পায় অন্তরে নির্ভয় পরিচয় মহা-অজানার।
১৪
একদিন যারা মেরেছিল তাঁরে গিয়ে
রাজার দোহাই দিয়ে
এ যুগে তারাই জন্ম নিয়েছে আজি,
মন্দিরে তারা এসেছে ভক্ত সাজি—
ঘাতক সৈন্যে ডাকি
‘মারো মারো’ ওঠে হাঁকি।
গর্জনে মিশে পূজামন্ত্রের স্বর—
মানবপুত্র তীব্র ব্যথায় কহেন, হে ঈশ্বর!