পাতা:গীতরত্ন গ্রন্থঃ (১৮৭০)- রামনিধি গুপ্ত.djvu/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৷৷৴৹ ]

নিধুবাবু তাঁহার পর আখড়াই বিষয়ে যে সকল নুতন প্রণালী করেন এমত আর কেহই করিতে পারেন নাই, ইহাঁর কৃত প্রণালীই অদ্যাপি প্রচলিত রহিয়াছে।

 ১২১০ সালে যখন মহামান্য মহারাজা রাজকৃষ্ণ বাহাদুর “আখড়াই,, আমোদে আমোদী হইলেন তখন শ্রীদাম দাস, রামঠাকুর, ও নসিবাম সেকরা প্রভূতি কসেক জন সর্ব্বদাই “আখড়াই,, সংগীতের সংগ্রাম করিত, ইহাঁরা তাবতেই এ বিষয়ে পণ্ডিত ছিল কিন্তু সৌখিন ছিলনা পেসাদারি করিয়া টাকা লইত। ১২১২ কিম্বা ১৩ অব্দে নিধুবাবুব উদ্যোগে এতন্নগরে দুইটি সংশোধিত সখের আখড়াই দলের সৃষ্টি হয, তাহার এক পক্ষে বাগবাজার ও শোভাবাজারস্থ সমুদায় ভদ্রসন্তান, এবং আর এক পক্ষে মনসাতলা অথবা পাতুরিয়াঘাট নিবাসি ৺নীলমণি মল্লিক মহাশয় ও তাঁহার বন্ধুবর্গ ব্রতী হইলেন, এই উভয় দলে “বাদী,, হইলে নিধুবাবু বাগবাজারের পক্ষ হইয়া গীত ও মুর প্রদান করিলেন, এবং মল্লিক বাবুর পক্ষে শ্রীদাম দাস এবং ৺কুলুইচন্দ্র সেনের পুত্র ৺গোকুলচন্দ্র সেন প্রভৃতি কয়েক জন গীত ও সুর প্রস্তুত করণার্থে প্রবর্ত্ত হইলেন, তাহাতে শ্রীদাম দাস প্রভৃতি ভবানী বিষয় এবং খেউড় প্রস্তুত করিলেন প্রভাতি প্রস্তুত করিতে গোকুলচন্দ্র সেনেব উপর ভারার্পণ হইল, তাহাতে তিনি এই মোহাড়া রচনা করিলেন যথা।

“ওইরে অরুণ আলো কামিনী দহিতে।,,

 কিন্তু ইহার চিতেন পড়েন এবং অন্তরা প্রস্তুত করিতে বিলম্ব হওয়াতে নিধুবাবুকে কহিলেন খুড়ামহাশয় এই মোহাড়া প্রস্তুত করিয়াছি, কাল বিলম্ব হয় অতএব অনুগ্রহ কঁরিয়া ইহার চিতেন প্রভূতি রচনা করিয়া দিউন তাহাতে বাবু এই নিম্ন লিখিত চিতেন, পড়েন এবং পর চিতেন রচনা করিয়া দিলেন যথা।