পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• পূৰ্ব্ব-পদকতৃগণ ও শ্ৰীভক্তিবিনোদ Տ 8 Հ) শ্ৰবণ করিলে শ্রবণ জুড়াইয়া যায়। ওস্তাদজী বৈষ্ণবদাসের দেহান্তরের পর শ্ৰীকুলিয়া-নবদ্বীপে শ্ৰীঅদ্বৈতদাস এবং লাখুরিয়ানিবাসী রাগভূষণ শ্ৰীরসিকলাল দত্ত তথা রঙ্গপুর নিবাসী শ্ৰীবরদাপ্ৰসাদ বাগচী মহাশয় প্রভৃতি এখনও মনোহর সাহী গানকে বজায় রাখিয়াছেন। ইহাদিগের গান শুনিয়া র্যাহার একবার রসবোধ কুরিয়াছেন, তাহার। অর্থ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়াপতি গায়কদিগ্নের গান শুনিতে আর সম্পূহ করেন না। আজকাল অর্থ-ব্যবসায়ী গায়কগণ কেবল রেণেটী-পদ্ধতির রং গান করিয়া থাকেন। --=== বৈষ্ণবদিগের ভিতর মান বজায় রাখিবার জন্য মাঝে মাঝে একটী পাকা গান গাহিয়া থাকেন। আর সকলেই নামে রসিকমাত্র। তাহারা রসবোধশূন্য এবং বৈষ্ণব-সিদ্ধান্ত-বিরুদ্ধভাষী । গানে তাহাদের রাগ-রাগিণী, রং ঢং যথেষ্ট আছে, কিন্তু বৈষ্ণবের শ্রোতব্য অধিক দেখা যায় না । তাহারা সমাগত স্ত্রীলোক ও মূৰ্থিলোকদিগকে রঞ্জন করিবার মানসে গানে এতদূর আখর দেয় যে, মহাজনের পদটী কোথায় থাকে, তাহ জানা যায় না। মুর্থ লোক বাহবা দেয়, অর্থ দেয়, তাহাতেই তাহারা অহঙ্কারে পরিপূর্ণ। আঠার রসের কালাকাল বিচার নাই। বৈষ্ণব-তত্ত্বে নিশান্ত-লীলা সর্বপ্রথমে হওয়া উচিত। এই অসাধুরঞ্জকগণ নিশান্ত লীলা অবশেষে গায়। ইহা বৈষ্ণব-সিদ্ধান্ত-বিরুদ্ধ। আর একটি কথা ইহার মধ্যে ভয়ানক আছে। শ্ৰীরাধাগোবিন্দের শৃঙ্গারু-লীলা গীত ও শ্রবণ, উভয়ই প্রধান উপাসনা ও নিত্যভজন। এই ভজন-লীলা সৰ্ব্বসাধারণের নিকট গান করা অনুচিত -ட ட Digitized at BRCindia.com