পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fo গীতার চরম শিক্ষা-শরণাগতি। শ্ৰীৰূপ গোস্বামি-প্ৰভু ‘ভক্তিরাসামৃতসিন্ধু’তে শরণাগতির সর্বোত্তমাবস্থা বর্ণনা করিয়াছেন। ঠাকুর ভক্তিবিনোদ তাহার আদর্শ-চরিত্রে ও শিক্ষায়, শরণাগতি সম্বন্ধে বিভিন্ন প্ৰবন্ধে ও তাহার স্বরচিত গীতি-গ্রন্থে শরণার্গতির ষড়বিধ লক্ষণের অভূতপূৰ্ব্ব বিশ্লেষণ করিয়াছেন। শ্ৰীজীব গোস্বামিপ্ৰভু ভক্তিসন্দর্ভে শ্ৰীভক্তিরাসামৃতসিন্ধু-কথিত শরণাগতির ছয়টি লক্ষণের মধ্যে “কৃষ্ণকে গোপ্তত্বে বরণ”ই শরণাগতির ‘অঙ্গী” ও অন্যান্য পাচটিকে “অঙ্গ’ বলিয়াছেন। র্যাহারা কৃষ্ণকে একমাত্র পালয়িতা বলিয়া বরণ করেন নাই বা তদ্বিষয়ে র্যাহাঁদের কিঞ্চিম্মাত্ৰও নূ্যনতা আছে, তাহারা পূর্ণ শরণাগত নহেন। সেই অদ্বিতীয় গোপ্ত কৃষ্ণের গোপীগণ পূর্ণশরণাগত। ঠাকুর ভক্তিবিনোদ তাহার শরণাগতি'-গীতির প্রারম্ভে বলিয়াছেন,--শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য জীবের প্রতি দয়াবিশিষ্ট হইয়া অত্যন্ত দুল্লভ প্রেম দান করিবার জন্য নিজ-পাৰ্ষদ ও নিজ-ধামের সহিত অবতীর্ণ হইয়া ভক্তগণের জীবনস্বরূপ শরণাগতি শিক্ষা দিয়াছেন। কৃষ্ণকে গোপ্তত্বে বরণ, দৈন্য, আত্মনিবেদন, কৃষ্ণ অবশ্য রক্ষা করিবেন।-এই বিশ্বাস, ভক্তির অনুকূল স্বীকার ও ভুক্তির প্রতিকূল বৰ্জন—শরণাগতির এই ছয় প্রকার ভেদ। ভক্তিবিনোদ বলিতেছেন,- “ষড়ঙ্গ শরণাগতি হইবে যাহার। তাহার প্রার্থনা শুনে শ্ৰীনন্দকুমার ॥” Digitized at BRCIndia.com