পাতা:গীতাসার - বলাইচাঁদ মল্লিক.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( b ) দেবকীর গর্ভে বসুদেব হইতে ( বেধ দীক্ষায় ) অংশরূপে আবিভূতি হইয়াছিলেন। বৈদিক ধৰ্ম্ম স্থাপনের জন্যই তাহার আবির্ভাব। এই বিষয়টি স্মরণ করিয়া গীতা পাঠ করিলে গীতার প্রত্যেক অধ্যায়েও শ্লোকে বৈদিক ভাব দেখিতে পাইবেন । এক্ষণে আমর গীতার মূল গ্রন্থ হইতে এই বিষয়ের যথার্থতা অর্থাৎ বৈদিক ধৰ্ম্ম স্থাপন যে গীতার উদেঙ্গ তাহ। কথঞ্চিৎ দেখাইতে চেষ্টা করিব। প্রথম অধ্যায়ে শঙ্খ বাদন উপলক্ষে উক্ত হইয়াছে হৃষিকেশ *পাঞ্চজন্ত” শঙ্খ বাদন করিলেন । পাঞ্চজন্ত শঙ্খের ইতিহাস এই । সমুদ্রস্থিত পঞ্চজন নামে এক অমুর, সান্দীপনীর পুত্রকে গ্রাস করিয়াছিল । শ্ৰীকৃষ্ণ সান্দীপনী ঋষির নিকট সমগ্র বিদ্যা লাভ করিয়া গুরুদক্ষিণ স্বরূপ র্তাহার পুত্রকে আনয়ন জন্ত পঞ্চজন অসুরকে বধ করিয়া যমালয় হইতে গুরু পুত্রকে আনয়ন করিয়া গুরু দক্ষিণ প্রদান করেন। সেই পঞ্চজন শঙ্খন্ধপ ধারী অমুরের অস্থি তিনি গ্রহণ করেন এবং শুদ্ধ করিয়া নিজে শঙ্খন্ধপে তিনি ব্যবহার করেন । তাহাই পাঞ্চজন্য শংখ । শ্ৰীমদ্ভাগবত, দশম স্কন্ধ ৪ ৫ অধ্যায় ৪০ শ্লোকে শ্ৰীমদ বল্লভাচার্য্য টীকায়, অবিদ্য। অস্মিত রাগদ্বেষ অভিনিবেশ এই পঞ্চ পৰ্ব্ব অবিদ্যাকে পঞ্চজন বলিয়াছেন । তাহ৷ স্থষ্টির সহায় কারণ রূপ সমুদ্রে শংখ রূপে অবস্থান করিতেছে। তাহার প্রতিষেধক বিদ্যার সনদীপনীর ধারাকে, সেই অসুর নিয়তই গ্রাস করিতেছে। ভগবৎ সহায় সান্দীপনীর সাহায্যে তাহার উদ্ধার সাধন হইতে পারে তখন ইহা ভগবদঙ্গরূপে পরিণত হইতে পারে, তাহাই পঞ্চপৰ্ব্ব বিদ্যা। সাংখ্য যোগেীতু বৈরাগ্যং তপো ভক্তিশ্চ কেশবে। পঞ্চ পৰ্ব্বেতিবিস্তেয়ং যযা মর্ত্যে হরিং বিশেৎ। নারদ পঞ্চরাত্র। পঞ্চ পৰ্ব্ব অবিস্তাই পঞ্চজন । এই পঞ্চজনকে নিহত করিয়৷