পাতা:গীতাসার - বলাইচাঁদ মল্লিক.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( و ) যে ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ আছে এবং তাহ দ্বারাই যে আমাদের সাধন করিতে হইবে ইহাই গীতাশাস্ত্রের বিশেষ উপদেশ । এই দেবামুর সংগ্রামই কুরুক্ষেত্র সময় ৷ পাণ্ডবগণ দেবভাবপন্ন। পাণ্ডু বুদ্ধিস্থানীয়। পাঞ্চালী কৃষ্ণাও দেবযজ্ঞ হইতে সমুদ্ভূত স্থির যৌবন!= দেবরাজ ইন্দ্রের পঞ্চবিধ শক্তি হইতে জাত দেব কুমার পঞ্চকে বিবাহ করেম। যুধিষ্ঠির ( যুদ্ধে আকাশের স্তায় স্থির ) ভীম পবননন্দন। অগ্নির জন্ত খাওল বন দাহনকারী অর্জুন। নকুল যাহার কুল অর্থাৎ শেষ নাই সেষ্ট সমুদ্রবৎ আপস্তত্ত্ব এবং সহদেব সহনশীল দেব পৃথিৰী । এই পঞ্চতত্ত্বাত্মক দেবতত্ত্বের সহিত যাজ্ঞসেনীর বিবাহ হয় । দেবভাবের সহিত ভগবানের ঘনিষ্ট সম্বন্ধ । তাহার উপর নির্ভর করিলে, তিনিই আমাদের সারধির ন্তায় পথ দেখাইয়া লইয়া যান। তাই ভগবান অর্জুনের সারথি । হৃষিকেশ ইঞ্জিয়গণকে আয়ত্ব করিয়া তাহদের কর্তা রূপে ইন্দ্রিয়ুরূপ অশ্বগণকে নিজের ইচ্ছামত পরিচালনা করিতেছেন । অৰ্জুনও শ্রীকৃষ্ণ সম্বন্ধে গীতার ১৮ অধ্যায় ৬১ শ্লোক ভাস্থ্যে শ্ৰীমৎ শঙ্করাচার্য্যই বলিয়াছেন— ঈশ্বরঃ সৰ্ব্বভূতানাং হৃদেশেই জুন তিষ্ঠতি । ভ্রময়ন্‌ সৰ্ব্বভূতানি যন্ত্রারূঢ়াণি মায়ণ । ঈশ্বর ঈশনশীল নারায়ণ এবং অর্জুন শুক্লান্তরাত্মা স্বভাবে বিশুদ্ধান্তকরণ ইতি । বিশুদ্ধ অস্তঃকরণ বিশিষ্ট জীবে তিনি সৰ্ব্বদাই উপদেশ দান করিতেছেন। বেদেও উক্ত হইয়াছে “অহশ্চ কৃষ্ণমহরজুনঞ্চ” “পিবৰ্ত্তেতে রঙ্গগী বেস্তাভিঃ” “অর্জনমতি স্বচ্ছং শুদ্ধ স্বভাবমুপলভাতে । আননগিরি” । অর্জন অর্থে স্বচ্ছ শুদ্ধ জ্যোতিঃ স্বভাব ।