পাতা:গীতা-স্মৃতি.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

le) ۰ করিলে বিশ্বস্বষ্টি দানবীয় কৌতুক বলিয়াই মনে হয়। যুগে যুগে কালে কালে সাধক ও মনীষির জীবনের রথ-ঘর্ঘরের পিছনে সত্য, শিব ও সুন্দরের পৰিচয় পাইয়াছেন । যাহা সত্য ও কল্যাণ তাৰা নিত্য নব অভূদিয়ের মধ্য দিয়া অনন্ত পরিসমাপ্তির দিকে চলিবে, এই কল্পনা যুক্তিসঙ্গত এবং আমাদের হৃদয়ের গোপন আশার অমুকুল। এইদিক দিয়া বিচার করিলে আমরা বলিতে পারি, ব্যক্তির নাশ হয় না, ইহলোকে তাহার যে আদর্শন ঘটিল, তাহা ক্ষণিক, কালান্তর এবং লোকাস্তরে সে ব্যক্তি নুতন পরিবেশের মাঝে আপনাকে ফুটাইয়া তুলিবে। আমাদের শাস্ত্রে বারংবার আত্মতত্ত্বের আলোচনা হইয়াছে । আমাদের দর্শনের সৌধভিত্তি আত্মতত্ত্বের উপরই প্রতিষ্ঠিত । বৃহদারণ্যক উপনিষদে যাজ্ঞবল্ক্য মৈত্রেয়ীকে এই উপদেশই দিয়াছিলেন । ‘ন বা অরে ভূতানাম্ কামায় ভুতানি প্রিয়ানি ভবস্তাত্মনস্তু কামায় ভূতানি প্রিয়ানি ভবস্তি। ন বা অরে সর্বস্ত কামায় সৰ্ব্বং প্রিয়ং ভবত্যাত্মনস্তু কণমায় সৰ্ব্বং প্রিয়ং ভবতি । আত্মা বা অরে দ্রষ্টব্য : শ্রোতব্যে মস্তব্যে । নিদিধ্যাসিতব্যে মৈত্রেয়ি | আত্মনে বা অরে দর্শনেন শ্রবণেন মত্যা বিজ্ঞানেনেদং সৰ্ব্বং বিদিতম্।” মামুষ যে প্রণণিগণকে ভালবাসে, সে তাহীদের জন্য নহে, আত্মার প্রীতির জন্যই ভালবাসে । কাহার জন্যও কেহ প্রীত হয় না, সকলেই আত্মার জন্য প্রিয় হয়। অতএব আত্মাকে দর্শন করিবে, আত্মার কথা শুনিবে, মনন করিবে এবং ধ্যান করিবে, কারণ