পাতা:গীতা-স্মৃতি.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

തൃീ@ লিখি এবং মৃত্যুর আড়াল নামক গল্পটি লিখি। গীত-প্ৰতি ১৩৪৪ সালের ৩০শে কীৰ্ত্তিক সমাপ্ত হয় । তিনটি লেখাই দীপিকায় বাহির হয় । শোক একান্ত নিজস্ব, ব্যক্তিগত সেই দুঃখপ্রকাশ অবাঞ্ছনীয় । কিন্তু দুঃখই সাহিত্যের মুল উৎস, তাই ইহাকে সঙ্কলন করিয়া প্রকাশ করিলাম। শোকার্ভ মানুষের যদি ক্ষণিক সাত্বনা হয়, তবেই ইহার সার্থকতা । মৃত্যু চিরন্তন রহস্য । মৃত্যুর দ্বারে দাড়াইয়াই আমরা সত্যের সন্ধান পাই । স্বৰ্গত কুসুমকলিকা গীতার ক্ষণ-জীবনের সার্থকতা কি ? তাহার জীবনে মঙ্গলময় বিশ্ববিধাতার কোন উদ্দেশু সাধিত হইল ? সে তর্ক নিষ্ফল, তবু মনে বারে বারে জাগে । জনম মরণ অনন্ত রহস্ত ভরা হেঁয়ালি গভীর, না জানে উত্তর কেহ, প্রশ্ন চিরন্তন মামুষেরে চিরকাল করেছে অধীর । শোকাতুর জননীর তর্কে মনে বিদ্রোহ জাগে। সে মঙ্গলকে দেখিতে ভোলে, আৰ্ত্ত বেদনায় কহে, - অন্ধ জড় শক্তি মোরা তার ক্রীড়নক রব মেীন স্থির, রব চেয়ে নিম্পলক । বিদ্রোহী কবি বিধাতাকে অস্বীকার করে । মানুষের মধ্যে যে অমরত্ব, যে অমৃতত্ব আছে ভাহীরই প্রচার করে । কাছে ছিল ছোট হয়ে সীমার আড়ালে আজ সে যে গেছে প্রিয় জগতে ছড়ায়ে