এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন।

সঙ্গীত প্রত্যেক মনুষ্যেরই অন্তঃকরণের পদার্থ। যেরূপ প্রিয়তম বন্ধ র সহবাসে আমরা মুখে কালাতিপাত করি, বিশুদ্ধ সঙ্গীতের আলাপেও অবিকল সেইৰূপ মুখে কাল অতিবাহিত করিতে পারা যায় । সঙ্গীত দুঃখশোকাদিমন্ত গু হৃদয়ের এক মাত্র অবলম্বন, অতএব এরূপ পদার্থের প্রতি লোকের যৎপরোনাস্তি অনুরাগ জন্মিবে ইহাতে আর বিচিত্র কি ? ভারতবর্ষীয়ের অতি প্রাচীন কাল অবধি সঙ্গীতচচ্চর জন্য সমধিক প্রসিদ্ধ। আমাদের পূর্বপুরুষের বিজ্ঞানশাস্ত্রের এই অঙ্গটার এতদূর উন্নতিসাধন করিয়াছেন, যে পৃথিবীর অন্য কোন দেশের অধিবাসীরাই সে কপ করিতে সমর্থ হন নাই । অধুনাতন প্রধান সঙ্গীতবেত্তারা এরূপ নির্দেশ করিয়া থাকেন, যে ভারতবর্ষ হইতে সভ্যতার অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যেরূপ দেশ দেশান্তরে বিস্তুত হওয়াতেই অন্যান্য দেশ সভ্যতার সোপানে অধিৰূঢ় হয়, সেইকপ ভারতবর্যেরই সঙ্গীত লইয়া অন্যান্য দেশের সঙ্গীত শিক্ষা হইয়াছিল। কিন্তু দুৰ্ভাগ্যক্রমে কিছুকাল অবধি আমাদের দেশের লোকের সঙ্গীতের প্রতি হতাদর হইতেছেন—অশ্লীল ও অরুচিকর সঙ্গীতের প্রাদুভাবই বোপ হয় ইহার এক মাত্র কারণ। রামনিধি গুপ্ত প্রভৃতি অনেকানেক সঙ্গীত রচয়িতার নানাবিধ অশ্লীল সঙ্গীতের পরিচালনা করিয়া দেশের এই মহানিষ্ট সাধন করিয়া গিয়াছেন। সম্প্রতি শ্রদ্ধাস্পদ ত্রযুক্ত ক্ষেত্রমোহন গোস্বামী, যুক্ত শৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর প্রভৃতি কতিপয় মহামা প্রলয়োম্ম,খ সঙ্গীতের পুনরুদ্ধারসাধনাৰ্থ বদ্ধপরিকর হইয়াছেন। ইহাদের চেষ্টায় আমাদের দেশের লোকেরা সঙ্গীতশাস্ত্রের প্রতি পুনৰ্ব্বীর পূৰ্ব্বের ন্যায়