টমি।
আমি উন্মাদের মত শূন্যহৃদয়ে বাড়ী ফিরিলাম। চোখে এক ফোঁট জলও ছিল না।
২
মনটা কেমন হইরা গেল। সকলেরই শুনিয়াছি এমনি হয়। মিনি নাই, বিশ্বাস হয় না। সে যেন কোথায় গিয়াছে, আবার আসিবে। কখনও ভাবিতাম, যদি অর্থ উপার্জ্জনের ক্ষমতা থাকিত, যদি পিতার উপরে সম্পূর্ণ নির্ভর করিতে না হইত, তাহা হইলে হয় ত মিনিকে বাঁচাইতে পারিতাম। মাথার তেল পড়িত না, মলিন বসনে উদাসীনের ন্যায় ঘুরিয়া বেড়াইতাম। মা ভয় পাইয়া পিতাকে বলিতেন, পিতা আশ্বাস দিতেন, ঘরে আবার বৌ আসিলেই সব সারিয়া যাইবে,—অমন হইয়া থাকে।
এক দিন মিনির কথা ভাবিতে ভাবিতে পাগলের মত হইয়াছি, নদীর ধারে ঘুরিয়া বেড়াইতেছি, এমন সময়ে কে আসিয়া বলিল পিতা ডাকিতেছেন। বাড়ী ফিরিয়া দেখিলাম পিতা বড়ই প্রসন্ন, কে যেন আসিয়া কাণে কাণে বলিয়া গেল, দশ হাজার প্রায় তাঁহার হস্তগত। শুনিলাম কন্যার পিতা আশীর্ব্বাদ করিতে আসিয়াছেন।
পিতা বলিলেন, “ভিতরে যাও।” আমি কিন্তু তেমনি দাঁড়াইয়া রহিলাম।
দেখিয়া পিতা রুষ্ট হইয়া বলিলেন, “দাঁড়িয়ে রটলে যে? ভিতৱে যাও।”
আমি তবুও নড়িলাম না। কোন কথা কহিলাম না।
পিতা তখন অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়াছিলেন, বলিলেন, “কি যাবে না?”
পিতাকে দেবতার দ্যায় ভক্তি করিতাম। যাঁহার প্রসাদে এই