গুচ্ছ।
সন্মুখেই দাঁড়াইয়া রহিল। ল্যাণ্ডোর পিছনে একখানি ভাড়াটিয়া গাড়ী আসিয়াছিল, তাহা হইতে একটি বিধবা স্ত্রীলোক ও দুইজন দাসী নামিয়া দূরে দাঁড়াইয়াছিলেন। পুরুষ তিনজনের মধ্যে দুইজন অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্য স্থির হইয়া দাঁড়াইতে পারিতেছিল না, তাহাদিগকে দেখিবার জন্য ঘাটের সম্মুখে লোক জমির গিয়াছিল, স্ত্রীলোক তিনটি পথ না পাইয়া এক পাশে দাঁড়াইয়াছিলেন। তাঁহাদিগের সঙ্গে একজন দরওয়ান আসিয়াছিল, সে তাঁহাদিগকে রক্ষা করিবার জন্য তাঁহাদিগের সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইয়াছিল। কলিকাতায় ভিড়ের সময়ে পথে গাড়ী দাঁড়াইতে দেয় না, সেইজন্য তাঁহাদিগকে বাধ্য হইয়া গাড়ী হইতে নামিতে হইয়াছিল, এবং মাতালের দল সম্মুখে পড়ায় তাঁহাদিগকে বাধ্য হইয়া অপেক্ষা করিতে হইতেছিল।
সুখের বিষয় কলিকাতায় অধিকক্ষণ ভিড় থাকিতে পায় না, একজন কনষ্টেবল আসিয়া ভিড় সরাইয়া দিল। ঘাটের লোকে স্ত্রীলোক দুইটিকে পুরুষদের ঘাটে নামিতে দিল না, তাহাদিগকে ফিরাইয়া দিয়া স্ত্রীলোকদিগের স্নানের ঘাটে যাইতে বলিল। ভাড়াটিয়া গাড়ীতে যে বিধবা রমণী দুইটি দাসী লইয়া স্নান করিতে আসিয়াছিলেন, বেশ্যা দুইটিও, তাঁহারা যেখানে স্নান করিতেছিলেন সেই স্থানে গিয়া জলে নামিল। তাহারা নানা ছলে তাঁহাদিগের সহিত আলাপ করিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। বিধবা রমণীটি তখন স্নান করিয়া পূজা করিতেছিলেন, দাসীদ্বয় তাহাদিগের সহিত কথা কহিতে লাগিল। তাহারা যখন শুনিল যে দাসীদ্বয় দৌলতপুর হইকে আসিতেছে তখন তাহারা সাগ্রহে বলিয়া উঠিল যে তাহাদিগের ‘বাবু’ দৌলতপুরের জমিদার। দাসীরা নাম জিজ্ঞাসা